অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ২৪ আগস্ট আদেশ দিতে বিচারিক আদালতকে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়া এই আদেশ পালন করে ৩১ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এক মাসের মধ্যে অভিযোগ গঠন ও এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে এরপরও মামলার অভিযোগ গঠন না করায় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পর বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এক মাসের মধ্যে অভিযোগ গঠন ও এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে এরপরও মামলার অভিযোগ গঠন না করায় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পর বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তাঁর (মহানগর দায়রা জজ) ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। বিচারিক আদালতে ২৪ আগস্ট ওই দুই মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য রয়েছে। হাইকোর্ট বলেছেন, ওই দিনই অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দিতে হবে। তারপর ৩১ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লাকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন, প্রেসিডেন্ট এম হারুনুর রশিদ ও পরিচালক দিদারুল আলমসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন, প্রেসিডেন্ট এম হারুনুর রশিদ ও পরিচালক দিদারুল আলমসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
ওই মামলায় ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন দিদারুল। বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ ২০১৩ সালে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ এপ্রিল কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দিদারুল আলমের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
Social Plugin