Ticker

6/recent/ticker-posts

ফ্রিতে নিন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড! অনলাইনে আয় ও কেনাকাটা করুন ইচ্ছেমত।

অনলাইনে কেনা-কাটা বা বিভিন্ন বিল পরিশোধের জন্য আমি যে কার্ড ব্যবহার করি তাঁর নাম পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড।
এই কার্ড দিয়েই আমি অনলাইন থেকে বিভিন্ন জিনিস যেমন- মোবাইল, ঘড়ি, গান, বিউটি প্রডাক্ট ইত্যাদি। এছাড়াও আমি আমার কার্যক্ষেত্রে মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার কিনতে হয়। যার সব কিছুই আমি করি এই কার্ড দিয়েই। আসুন জেনে নেই এই কার্ড সম্পর্কে-

পেওনার মাষ্টার কার্ড কি?

পেওনার মাষ্টার কার্ড হচ্ছে ইউএস পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের একটি ভার্চুয়াল ব্যাংক হিসাব এবং এটি ইউএস ডলার ধারন করে। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০০টি দেশে এটি ব্যবহ্রত হচ্ছে। ইউএস পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য প্রতিটি ফ্রি পেওনার কার্ডের (Free Payoneer Card) সাথে ২৫ ডলার ফ্রি ব্যালেন্স দিচ্ছে, তবে এই অফার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী বৈধ যেকোন নাগরিক এই কার্ডটির জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এবং আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, যারা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত নন, তারা এপ্লাই করবেন না। লাভ হবে না। শুধু শুধু কার্ড এনে দেশের ক্ষতি করবেন না ও রেপুটেশন নষ্ট করবেন না। কারন কার্ডে টাকা লোড করতে হলে অবশ্যই কোন না কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে এবং সেখান থেকেই টাকা লোড করতে হবে। এবং কার্ডটি যখন লোড করবেন তখন কার্ডের ফি কেটে নিবে।

এই মাষ্টার কার্ডটি আপনি যে যে কাজে ব্যবহার করতে পারবেন???

  • অনলাইন শপিং।
  • অনলাইন বিল উত্তোলন ও প্রদান।
  • অনলাইনে অর্জিত টাকা উত্তোলন।
  • বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অর্জিত টাকা উত্তোলন।
  • অনলাইনে মিউজিক সিডি, ল্যাপটপ, সফটওয়্যার, জুয়েলারী, বই, বিভিন্ন গিফট, ডোমেইন স্পেসসহ আরো অন্যান্য অনলাইন শপিং এর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ফেসবুক, টুইটার, গুগুল প্লাস, গুগুল, ইয়াহু সহ অন্যন্য সকল সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আপ-ওয়ার্-, ফ্রিল্যান্সার সহ অন্যান্য জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটে টাকা উত্তোলন ও বিল প্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

পেওনার মাষ্টার কার্ড দিয়ে বাংলাদেশে কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেন?

বাংলাদেশের ডাচ-বাংলা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড-চার্টাড ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক কিউ-ক্যাশ এটিএম বুথ থেকে অন্যান্য মাষ্টার কার্ডের মত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

পেওনার মাষ্টার কার্ডের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?

প্রথম ধাপঃ

Payoneer এ Account করতে প্রথমত যা লাগবে তা হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট। তারপর আমাদের Payoneer website এ যেয়ে Signup এ ক্লিক করতে হবে। ( উভয়ের সুবিধার্থে রেফারেল লিংক টি Signup এ দেওয়া হল।) লিংক টিতে ক্লিক করার পর নিন্মক্ত পেজ টি আসবে।




এখান থেকে আমাদের Sign Up Now তে ক্লিক করতে হবে। Sign Up Now তে ক্লিক করার পর নিন্মক্ত পেজ টি আসবে।




এখানে আমাদের Prepaid Master Card option টি Select করে Sign Up option টিতে click করতে হবে। Signup option টি click করার পর নিন্মক্ত Signup Form এর page টি আসবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ পেজ টি না এসে সরাসরি Signup form এর page টি ও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে নিন্মক্ত ধাপ অনুসারে আগাতে হবে।




Sign Up form টিতে এবার ধাপে ধাপে Passport বা Voter ID Card অনুযায়ী First name, Last Name, Email Address, Re-enter email address, Date of birth এ ঘর গুলো পূরণ করতে হবে।উধাহরন সরুপ বলাজায় যদি কারো নাম Voter ID card বা Passport অনুযায়ী Sadia Afreen হয় তবে First name এ Sadia এবং লাস্ট Name a Afreen হবে। Email ID এর ঘরে Email ID ও Date Of birth এর ঘরে Voter ID Card বা পাসপোর্ট অনুযায়ী Date Of birth বসাতে হবে।




দ্বিতীয় ধাপঃ

দ্বিতীয় ধাপটি মূলত Contact Details Form. এখানেও আমাদের পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী ঘর গুলো পূরণ করতে হবে।




Country option টি তে বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Street address টি তে ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট অনুযায়ী Street address টি দিতে হবে। এরপর City তে আপনার শহর টি সিলেক্ট করতে হবে। তারপর আপনার Postal Code টি দিতে হবে এবং সব শেষে আপনার মোবাইল নাম্বার টি দিয়ে Next button এ ক্লিক করতে হবে।

তৃতীয় ধাপঃ

তৃতীয় ধাপ টি মূলত Security details সংক্রান্ত। Username এর ঘর টিতে পুনরায় আমাদের email address টি লিখতে হবে। এরপর Enter password ঘর টিতে নিজের ইচ্ছা মত একটি Password দিতে হবে।আর Security Question এর ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছা মত Question select করে Answer গুলো দিতে হবে। তারপর Next Button এ ক্লিক করে চতুর্থ ধাপে যেতে হবে।




চতুর্থ ধাপঃ

চতুর্থ ধাপ টি ই হচ্ছে অ্যাপ্লাই এর সর্বশেষ ধাপ। এই Almost Done option টিতে আমাদের একটি Government ID সিলেক্ট করতে হবে। যেমনঃ পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ড। তারপর পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী পরবর্তী ঘর টিতে নাম লিখতে হবে। এরপর সেই document টির নাম্বার অর্থাৎ পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার টি পরবর্তী ঘরে বসাতে হবে এবং সর্বশেষ ঘরে Country অর্থাৎ দেশ সিলেক্ট করতে হবে।




তারপর চিত্রটি অনুযায়ী I agree নামক তিনটি শর্ত যুক্ত যে বক্স গুলো আছে সেগুলোতে টিক দিয়ে Finish Button এ চেপে Apply কার্যক্রম টি পূর্ণ করতে হবে। তবে কারো Shipping Address অর্থাৎ যে ঠিকানায় Master card টি পোস্ট করা হবে সেটি যদি স্থায়ী ঠিকানা হতে ভিন্ন হয় অথবা যদি কেউ card টি অন্ন কোন ঠিকানায় Delivery করাতে চায় তবে সে Shipping Address If Different from Home Address option টিতে click করে সেটি করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে নিন্মক্ত চিত্রটির ন্যায় একটি form আসবে।




চিত্রটির ন্যায় একে একে সব ঘর গুলো পূরণ করে I agree শর্ত যুক্ত বক্স গুলোতে টিক দিয়ে Order button এ ক্লিক করে Apply এর সর্বশেষ ধাপ টি শেষ করতে হবে এবং এর মাধ্যমেই Registration ধাপটি complete হবে। এ আবেদন টি Approve হবার পর ১৫-২৫ দিনের মধ্যে Card টি delivery হবে। তবে কোন কারনে যদি এরচেও দেরি হয় তবে সেক্ষেত্রে Post Office এ যোগাযোগ করতে হবে। নিন্মে সুবিধার্থে একটি চিত্র দেওয়া হল।




সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে Step 1 টি completed দেখাবে। তারপর step 2 তে আমাদের Approval এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অবশ্য Approve কার্যক্রমটি খুব দ্রুতই সম্পন্ন হয়। তারপর Delivery এবং Delivery এর পর Card Activation.
উপরোক্ত ধাপ গুলো অনুসরণের মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা Payoneer Mastercard এর জন্য Applyকরতে পারব। পর্ব ২ তে আমরা দেখব Card টি হাতে পাবার পর কিভাবে তা Active করতে হয়। আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।
Reactions