সাজিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তারা আর খুঁজতে পারবে না। সাজিয়াকে ভুলে যাওয়ার কথা বলে। নিজেদের খুঁজে নিতে বলে পুলিশ।
সাজিয়া যুবের আর বশিরের একমাত্র আদরের বোন ছিল। যাকে দুই ভাই খুব আদরে মানুষ করেছে। এই দুই ভাই বোনকে কখনও তাদের মা বেঁচে না থাকার কষ্টটা বুঝতে দেয় নি।
সাজিয়া নিখোঁজের পর এই দুই ভাইয়ের জীবন এক প্রকার থেমে গিয়েছিল। সজিয়া হারিয়ে গেছে এক মাস হয়ে গেছে। বোনের স্মৃতি ওদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। আর অন্যদিকে ভারতের আসাম থেকে হাজার মাইল দূরে ভারতের হরিয়ানায় সাজিয়া সুলেমানের বাড়িতে এক কৃতদাসে পরিণত হয়েছিল। যেখানে প্রত্যেক রাতে মানসিকভাবে অসুস্থ আমির সিদ্দিকী তাকে নিজের শারীরিক খিদে মেটানোর জন্য ব্যবহার করত। তারপর একদিন এমন রাত আসে যেটা সাজিয়ার মনে আরও একবার ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
গভীর রাতে সাজিয়ার ঘরে আসে আমিরের বড় ভাই। ঘরে ঢুকে সাজিয়ার সাথে জবরদস্তি করে। এই ঘটনা আমিরের বড় ভাইর স্ত্রীকে জানালে সে জানায় তোকে কিনে আনা হয়েছে যার যেমন খুশি তোকে ব্যবহার করবে। পঞ্চায়েতে বসলে এর পরিণাম আরো খারপ হবে। চুপচাপ সব সহ্য করতে থাকে সাজিয়া। কখনও আমির কখনও আমিরের ভাই কখনও আমিরের বাবার যৌন চাহিদা মেটাতে হয় সাজিয়াকে।
উল্লেখ্য, সাজিয়ার প্রেমিকই তাকে বিক্রি করে দেয়। সাজিয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাম থেকে নিয়ে পালিয়ে যায় তার প্রেমিক। পরে দালালের কাছে বিক্রি করে টাকা নিয়ে চম্পট দেয় প্রেমিক। দেখুন সাজিয়ার সেই লোহমর্ষক ঘটনা।
ভারতের জনপ্রিয় এক বেসরকারি টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ক্রাইম পেট্রোল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় এই অনুষ্ঠান। পাঠকদের জন্য সেই অনুষ্ঠানটির একটি পর্ব এখানে তুলে ধরা হল।

Dollar to
Taka Converter
Social Plugin