Ticker

6/recent/ticker-posts

সেপ্টেম্বরেই ভোটারদের হাতে স্মার্টকার্ড!

উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণের কাজ গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী মাস (সেপ্টেম্বর) থেকে জনগণের হাতে এ কার্ড তুলে দিতে চায় তারা। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর একটি অংশ ও দেশের উত্তরাঞ্চলের এক বা একাধিক জেলায় এ কার্ড বিতরণ করা হবে। তবে স্মাট কার্ড বিতরণের উদ্বোধন রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সময় দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে উদ্বোধন করাতে চায় কমিশন। ফলে তাদের সময় দেওয়ার ওপরই দিনক্ষণ নির্ধারণের বিষয়টি নির্ভর করছে। শিগগিরই সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করবে কমিশন। সে ক্ষেত্রে তারা সময় দিলে ঈদুল আজহার আগেও স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হতে পারে।
বুধবার কমিশনের বৈঠকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে সেপ্টেম্বর থেকে কার্ড বিতরণ করার প্রস্তুতি কমিশনকে জানিয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)।
নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কমিশনের চিন্তা আছে সেপ্টেম্বর থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার। তবে অতিথিসহ প্রস্তুতির বিষয়াদি রয়েছে। সেটি বিবেচনায় রেখেই কমিশন এগোচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ জানান, কবে থেকে বিতরণ শুরু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছু বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, স্মার্ট কার্ড গ্রহণের সময় ভোটারকে নতুন করে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। পাশাপাশি চোখের মণির ছবিও নেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত অক্টোবরে ১০টি মেশিনে স্মার্ট কার্ড ছাপানোর কাজ শুরু হয়। প্রতিমাসে ৫০ লাখ কার্ড ছাপানোর ক্ষমতা রয়েছে এসব মেশিনের। ইতোমধ্যে রাজধানীর অধিকাংশ ভোটারের কার্ড ছাপানো শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৪-১৫ সালে হালনাগাদে যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের কার্ডও সম্পন্ন হয়েছে। কার্ড বিতরণের সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে ৭৫টি ক্যাম্প বসাবে কমিশন। ওইসব ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন দুই লাখ ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে।
তিন স্তরে ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত প্রতিটি স্মার্ট কার্ড তৈরিতে খরচ পড়েছে ২ ডলারের মতো। এই কার্ডে ২৫ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। চাকরির আবেদন, ভোটার শণাক্তকরণ, ব্যাংক-হিসাব খোলা, পাসপোর্ট তৈরি, ই-গভর্নেন্স ও ই-পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যাবে। এতে নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য, স্মার্ট কার্ড তৈরির পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের জুনে। পরে সময়সীমা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
Reactions