আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডির স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর তিন স্তরের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত এই স্মার্টকার্ডে ভোটারদের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। টু-ডি বারকোড যুক্ত যন্ত্রে পাঠযোগ্য এই কার্ড সহজে নকল করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে প্রচলিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রাপ্ত সুবিধার বাইরে অসংখ্য কাজে ব্যবহার করা যাবে এ কার্ডটি। অনেক ধরনের নাগরিক সেবা পেতেও বাধ্যতামূলকভাবে এই কার্ডের দরকার হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভবিষ্যতের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখেই সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা রেখেই এই স্মার্টকার্ড তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনআইডি অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন। কার্ডের মানের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কার্ডের গুণ ও ব্যবহারগত মানের দিক থেকে এটি এখন বিশ্বের সাথে এক নম্বর। এটি আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফাইড একটি কার্ড।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের ৫০টির মতো দেশের নাগরিকদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলো ছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও স্মার্টকার্ডের প্রচলন আছে। নির্বাচন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের স্মার্টকার্ড বর্তমান প্রচলিত বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে উন্নত মানের।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের যেসব দেশে বর্তমান উন্নত ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তার সবগুলোর সঙ্গে তুলনা করে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সুবিধাযুক্ত করে বাংলাদেশের স্মার্টকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এনআইডি সূত্রে জানা যায়, ৩টি স্তরে যে ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এর মধ্যে প্রথমস্তরের তথ্যগুলো খালি চোখে দেখা যাবে। দ্বিতীয় স্তরের তথ্যগুলো দেখতে প্রয়োজন পড়বে ম্যানিফাইং গ্লাসের মতো কোনও যন্ত্রের। আর তৃতীয় স্তরে ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক করতে হবে।
যেসব সুবিধা থাকছে স্মার্টকার্ডে
স্মার্টকার্ড হবে ১০ অংকের। আগের মতো ১৩ কিংবা ১৬ ডিজিটের লম্বা লাইন থাকছে না। দেখতে অনেকটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে এটিকে। স্মার্টকার্ডের ১০ ডিজিট ব্যবহার করে দেশের একজন নাগরিক তার মৃত্যু পর্যন্ত নাগরিকদের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন।

Dollar to
Taka Converter
0 Comments