কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় অনেক নারীকে যেমন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তেমনি শুনতে হয় নানা কথা। এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। তবুও আশা পূরণ হয়নি তাদের। এ দম্পতি জানান, সন্তানের সংখ্যা যতই বাড়ুক না কেন, কন্যা সন্তান না হওয়া হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা।
ছোট ছেলেকে কোলে নিয়ে মা জুসিক্লেইড সিলভা।
২০ বছর আগে ইরিনিউ ক্রুজ ও জুসিক্লেইড সিলভা দম্পতির প্রথম পুত্র হয়। তাই তারা ঠিক করেছিলেন, পরেরটি মেয়ে হলে আর সন্তান নিবেন না। দুর্ভাগ্যবশত সেটিও ছেলে। এভাবে আবার আশা করলেন, পরেরটি বোধহয় মেয়ে হবে। কিন্তু সেটিও ছেলে হল। এরকম করতে করতে এখন তাদের পুত্র সন্তানের সংখ্যা ১৩।
তিনি মনে করেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড়দের নাম R দিয়ে শুরু হয়। তাই প্রত্যেক সন্তানের নাম ইংরেজি আর (R) বর্ণ দিয়ে রেখেছেন। তার সন্তানদের নাম যথাক্রমে রবসন (১৮), রেইনান (১৭), রাউয়ান (১৫), রুবেনস (১৪), রিভালডো (১৩), রুয়ান (১২), রামন (১০), রিনকান (৯), রিকেল্মে (৭), রামিরেস (৫), রেইলসন (৩) ও রাফায়েল (২) । তিনি আর আশা প্রকাশ করেন, এবার অর্থাৎ ১৪ নম্বর সন্তান যদি ছেলে হয় তাহলে তার নাম রাখবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালডো।
ইরিনিউ ক্রুজ জানান, যখন তাদের প্রথম সন্তান গর্ভধারন করে তখন তার স্ত্রী সিলভা ঠিক করে রেখেছিলেন কন্যা সন্তানের নাম। আর তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন ছেলে সন্তানের নাম। তার স্ত্রীর আশা আজও পূরণ হইনি।
গত আগস্ট মাসে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে ব্রাজিল। আর ইরিনিউ ক্রুজ এখন থেকে স্বপ্ন দেখছেন, তার সন্তানরাও একদিন এভাবে অলিম্পিকসহ বিশ্বের বড় বড় ইভেন্টে অংশ নেবেন। তিনি চান তার অন্তত একটি সন্তান হলেও যেন রিভালডো, রবার্তো কার্লোস, রোনালদিনহো এবং রবিনহোর মত ফুটবলার হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হব যখন দেখব আমার ছেলেরা ব্রাজিলের হয়ে ফুটবল খেলছে। এই ছোট বয়সেই তারা খুব ভালো ফুটবল খেলে। যেমন রবসন ও রাউয়ান খুব ভাল স্টাইকার হবে মনে হচ্ছে।’
১৩ ছেলের মা জুসিক্লেইড সিলভা বলেন, ‘দুপুরে খাবারের সময় কয়েক কেজি চাল রান্না করতে হয়। আর রুটিও তৈরি করতে হয় অনেক। অনেক বড় পরিবার হওয়ায় খাবার সংগ্রহ করতে ব্যাপক কষ্ট হয়। কিন্তু আমরা সন্তানদের কখনো ক্ষুধার্থ রাখি না। যদি একটি রুটির ব্যবস্থাও করতে পারি তাহলেও প্রত্যেককে সমান ভাগে ভাগ করে দেই। আমাদের জন্য খুব খুশির খবর হলো ১৩ সন্তানের ব্যবহারই খুব ভালো। তারা একে অন্যের সঙ্গে মারামারি বা ঝগড়া করে না
১৩ ছেলের মা জুসিক্লেইড সিলভা বলেন, ‘দুপুরে খাবারের সময় কয়েক কেজি চাল রান্না করতে হয়। আর রুটিও তৈরি করতে হয় অনেক। অনেক বড় পরিবার হওয়ায় খাবার সংগ্রহ করতে ব্যাপক কষ্ট হয়। কিন্তু আমরা সন্তানদের কখনো ক্ষুধার্থ রাখি না। যদি একটি রুটির ব্যবস্থাও করতে পারি তাহলেও প্রত্যেককে সমান ভাগে ভাগ করে দেই। আমাদের জন্য খুব খুশির খবর হলো ১৩ সন্তানের ব্যবহারই খুব ভালো। তারা একে অন্যের সঙ্গে মারামারি বা ঝগড়া করে না

Dollar to
Taka Converter
0 Comments