Ticker

6/recent/ticker-posts

সিভিতে লেখার জন্য যে দক্ষতা আপানার দরকার

বর্তমান চাকরির পাশাপাশি নতুন চাকরির জন্য কভার লেটার লেখা এবং ইন্টারভিউ দেওয়াটা একটু কঠিনই বটে। 
সিভিটি হতে হবে সহজপাঠ্য। এবং ছাপার ভুল মুক্ত। আর কাজসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতার বিবরণের পাশাপাশি সবশেষে বাড়তি কিছু দক্ষতারও উল্লেখ করুন। বাড়তি দক্ষতাগুলোই শীর্ষ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আপনার বাজার দর বাড়াবে। যা আপনাকে একই চাকরিতে আবেদনকারী আর সকল প্রার্থী থেকে আলাদা করে শনাক্ত করার ব্যাপারেও সহায়তা করবে।

এই বাড়তি দক্ষতাগুলো হলো :
১. অ্যাডোব ফটোশপ
ফটো এডিটিং বা গ্রাফিক ডিজাইনের মতো সৃজনশীল ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ফটোশপের মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি। ফটোশপ শেখার কোর্সে মোট ৮৮ লেকচারে ছবি আরো ধারাল করা থেকে শুরু করে লেয়ারিং কৌশল সবই আপনাকে শেখানো হবে।
২. মাইক্রোসফট এক্সেল
যারা অর্থায়নসংক্রান্ত কাজ করেন তারা তাদের দিনের বেশির ভাগ সময়ই মাইক্রোসফট এক্সেলে স্প্রেডশিটে তথ্য প্রবেশ এবং বিশ্লেষণে ব্যয় করেন। সুতরাং প্রোগ্রামটির খুটিনাটি জানা থাকতে হবে।
৩. বিদেশি ভাষা জ্ঞান
নতুন কোনো ভাষা শেখা সহজ কাজ নয়। এতে মস্তিষ্ককে পুনর্গঠন করতে হয়। কিন্তু একটি বিদেশি ভাষা শেখার উপকারিতা সকলেই জানেন। যারা একাধিক ভাষা জানেন তাদের স্মৃতি শক্তি প্রখর হয় এবং এরা একসঙ্গে বহুমুখী কাজেও পারদর্শী হন। বিশেষ কিছু চাকরিতে শুধু তাদেরই বেশি চাহিদা থাকে।
৪. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানা থাকলে নানা চাকরিতেই কাজে লাগে। এমনকি প্রযুক্তিভিত্তিক চাকরি ছাড়াও অনেক চাকরি আছে যেগুলোতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানা থাকলে বেশ কাজে লাগে।
৫. ওয়ার্ড প্রেস
যারা কোনো ওয়েবাসাইটে কাজ করেন তাদের সকলেরই এটা জানা থাকা উচিত কী করে কোনো ওয়েবসাইটের পেছন দিকটা কাজ করে। এ জন্য ওয়ার্ড প্রেস এ কাজের দক্ষতা থাকা জরুরি।
৬. গণভাষণ
আপনি যে শিল্পেই কাজ করেন না কেন একটি বিষয় নিশ্চিত। আর তা হলো, কর্মজীবনের কোনো না কোনো সময় সামনে বিশাল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে আপনাকে কথা বলতে হবেই। অনেকেই প্রাকৃতিকভাবেই গণভাষণ দানে বেশ পটু হয়ে থাকেন। কিন্তু অন্যরা তেমনটা নন। আপনি যদি দ্বিতীয় দলের হয়ে থাকেন তাহলে জনসমক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে কীভাবে শান্ত, স্থির এবং গুছানো থাকতে হয় তার প্রশিক্ষণ নিন।
৭. এসইও
যাদের চাকরির সাফল্য পরিমাপ করা হয় ক্লিক, লাইক এবং শেয়ারের ভিত্তিতে তাদের এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ জানা থাকাটা জরুরি।
৮. গুগল অ্যানালিটিকস
এসইও শেখার পর গুগল অ্যানালিটকস কোর্সও করুন। এসইওর মাধ্যমে আপনার নিবন্ধের প্রচার প্রসারের পর এ থেকে আসা ফলাফল রেকর্ড ও বিশ্লেষণ করার জন্য একটি পদ্ধতি দরকার হবে। আর এ ক্ষেত্রে গুগল অ্যানালিটিকসই সবচেয়ে কার্যকর ভরসা।
৯. পণ্য ব্যবস্থাপনা
নতুন ধারণার উদ্ভাবন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সামনে তা উপস্থাপন করাটা একটু কঠিনই বটে। নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং টিমে কাজ করতে গেলে পণ্য ব্যবস্থাপনার জ্ঞান থাকাটা বিশেষভাবেই জরুরি।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
Reactions

Post a Comment

0 Comments