গতকাল সন্ধায় চিটাগাং এর রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখা যায় এই বৃদ্ধাকে। বৃদ্ধার লম্বা চুল দেখে (পিছন থেকে) মনে হচ্ছিল কোন বৃদ্ধা মহিলা। খোলা গা থাকার কারনে নিজের চোখ নিজের চোখ কে সংযত রাখলাম। কিন্তু একটু পরে দেখি লোকজন তার কাছে আসতে শুরু করল। তাকে চা, বিস্কুট, আপেল সহ নানা ধরনের খাবার তার মুখে তুলেদিয়ে তোষামোদ করতে শুরু করল। সবাই ১০, ২০, ৩০, ৫০, ১০০০ হাজার টাকা দিচ্ছে আর বৃদ্ধ লোকটি তাদের কপালে আলগাভাবে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। তা দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। বৃদ্ধ লোকটি সম্পর্কে জানার খুব ইচ্ছা হল। কয়েক জনকে বৃদ্ধা সম্পর্কে জানতে চাইলাম। কেউ চিনে না, তবে তারা আমাকে পরামর্শ দিল, আপনি চাকুরীতে নতুন আসছেন, আপনিও ওনার কাছে যান, আয় রোজগারের বরকত দিবে। শুনে একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে বললামঃ যে লোকটি নিজের লজ্জা স্থান ঢাকবে সেই ক্ষমতা নাই, সে আবার আরেক জনের ভাগ্যের কি পরিবর্তন করবে???
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম, যখন লোকজনের ভিড় কমে গেল, বৃদ্ধ লোকটির কাছে কাছে গিয়ে (অত্যন্ত ভদ্রভাবে) বললামঃ আপনার নাম কি?
বৃদ্ধা খুশি হয়েঃ গাউসুল আজম গাউসীয়া পাক...
আমি থাকেন কোথায়?
বৃদ্ধাঃ গাউসুল আজমে...
এর পর আর ওনার সম্পর্কে খুব বেশি জানার ইচ্ছা হল না। শেষে ওনার ছবি তুলার অনুমতি চাইলাম। ওনি রাজি হইল। কিন্তু ছবি তোলার পর আমাকে বললোঃ ছবি কাউকে দিছ না......
একদিন এই বৃদ্ধা হয় থাকবে না, মরে যাবে.....
কিন্তু তার কবরকে বানানো হবে #গাউসুল_আজম_দরবার_শরীফ।
সেখানে কিছু মাজার পূজারী, ধর্মান্ধ, লোক তার খাদেম নিযুক্ত হবে। আর তার কিছু অনুসারী সে তৈরি করবে। এভাবেই সারা দেশে অসংখ্য মাঝার তৈরি হয়েছে। সেখানে গিয়ে সেজদা দিবে, যেই স্রষ্টা তাকে বানাইল তাকে ভুলে আরেকজন পাগলের কাছে সাহায্য চাইবে। খুব কষ্ট হয়। কিছুই বলতে পারছিনা, কিছু করতেও পারছিনা।
হে আল্লাহ তুমি আমাকে এই দেশ ও জাতির জন্য কিছু করার তোফিক দাও.
0 Comments