Ticker

6/recent/ticker-posts

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিয়ে ইসির হুঁশিয়ারি

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেসন্স) সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত্র একটি চিঠি সব উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,জাতীয় পরিচিতিজনিত যেকোনো সমস্যায় কোনো ব্যক্তি যদি উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করেন,তাহলে কী কারণে সমস্যা হচ্ছে তা যাচাই করে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করার জন্য এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
সেই হিসেবে সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কার্যালয়ে কাগজ-কালি-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু কোনো কোনো কার্যালয়ে সেবা দেওয়ার বিনিময়ে কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ দাবির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জড়িতদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি এ রকম একটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস-আইডিইএ’ প্রকল্পের উপপরিচালক মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদরের সংগ্রাম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে একটি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে বলা হয়েছে, মাসুদ রানা নামক একজনের কাছ থেকে মো. জাকির হোসেন ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এর বিনিময়ে তিনি মাসুদ নারা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন এবং মো. জাকির হোসেন নিজে ১২ বছর বয়স পরিবর্তন করে পৃথক এলাকায় দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। এগুলোর প্রমাণপত্রও রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, জাকির হোসেন জালিয়াতি ও দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং ডেটাবেজের সঠিকতা বজায় রাখার স্বার্থে মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রকল্প থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
এ অবস্থায়  জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে তা প্রকল্প কার্যালয়কে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
Reactions