Ticker

6/recent/ticker-posts

নারীর অধিকার


মানবতাবাদীর লেবাস পরা  সমজের কিছু কিছু যৌনবাদি নারীর সমান অধিকার নিয়া চিল্লাৈ আর আক্রমণ করার চেষ্টা করে ইসলাম কে। তারা মনে করে পর্দা খুলে আধুনিকতার নামে যৌন স্বাধীনতা দিতে পারলেই নারীর স্বাধীনতা দেওয়া হয়ে গেল। আর তারা অন্য কোন ধর্ম নিয়ে কথা বলে না কারন অন্য সব ধর্ম এর কোন আইন কোন দেশে প্রতিষ্ঠিত নেই এবং করা সম্ভব নয়। সুধু ইসলাম এ নারীর যে নীতি দিয়েছে প্রায় সব মুসলিম দেশেই এই নীতি অনুযায়ী সম্পত্তি বণ্টন করা হয়। এখন ইসলাম, হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হল
ইসলাম পূর্ব প্রাচীন আরবে নারী



প্রাচীন আরবে নারীর কোন অধিকার স্বীকৃত ছিলনা, বাজারে গরু-ছাগলের মত তাদের বিক্রি, বদলা, হস্তান্তর, অস্থায়ী ভোগের জন্য হাত বদল করা হত। পিতা মারা গেলে, পিতার সম্পত্তির মত মাকেও ভাগ করে নেওয়া হত। হয়ত বিক্রি করত, নয়ত পতিতালয়ে  ভাড়ায় খাটাত। নারী আসবাব পত্রের মত সর্বদা স্বামীর অধিকারে থাকত। নিজের স্ত্রীকে বেশী টাকার জন্য ভাঙায় পাঠানো হত। মূলত জায়গা, সম্পত্তি, উট, ঘোঙার সাথে যে ব্যবহার করা হত, নারীদের সাথেও সেভাবে বিবেচনা ও ব্যবহার করা হত। ভদ্র ঘরের মানুষেরা স্বামীর ঘরে কণ্যার কষ্টের কথা চিন্তা করে, শিশুকালেই জিবীত কবরস্থ করত। পিতা চোখ বন্ধ করে কণ্যাকে বালি চাপা দিয়ে , মাথায় বঙ পাথর টুকরা নিয়ে  এক আঘাতেই কণ্যার ভবলীলা সাঙ্গ করত! কণ্যা মানেই কলঙ্ক আর অপমান, কণ্যা মানেই দুঃখ-বেদনা হাজারো গ্লানির বোঝা নেওয়া।



ইসলাম পূর্ব গ্রিক সভভতা ও মিশরের সভ্যতাঃ
গ্রিক সভ্যতা কে প্রাচীন কালের সকল সভ্যতার শ্রেষ্ঠতম ও উজ্জল সভ্যতা বলা হত তথাকথিত এই উজ্জলতম সভ্যতায় নারী ছিল সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্ছিত। মিশরের সভ্যতায় নারী “ডাইনি” এবং সয়তানের প্রতীক হিসাবে মনে কর হত ।



হিন্দু ধর্মে নারীঃ
হিন্দু ধর্মে নারীর কোন সম্মান ও মর্যাদাই নাই, সতীদাহের মত অমানবিক, নির্মম-নিষ্ঠুর প্রথা হিন্দুধর্মের অংশ ছিল। চিতায় স্বামীর মৃত লাশ জ্বলত আর নারীর জীবন্ত শরীর জ্বলত। এই বাঙলায় হিন্দুদের বর্বর আইন প্রয়গ করে হাজার হাজার নারীর তাজা প্রান আগুনে পুরাইছে হিন্দু পরহিত রা কোন নারী সৌভাগ্যক্রমে স্বামীর জ্বলন্ত চিতা থেকে রেহাই পেলে, তাকে পদে পদে এমন তিরষ্কার করা হত, সে নারী বাঁচার চেয়ে  মরন। স্বামী হল নারীর দেবতা, সে কখনও তালাক পাবেনা, স্বামী স্ত্রীকে যত অত্যাচারই করুক, তাকে স্বামীর কাছেই থাকতে হয়, নারী স্বাধীন হবার যোগ্য নয়, তার কোন ইচ্ছা আখাঙ্খা থাকতে পারেনা। শয্যাপ্রিয়তা, অলঙ্কারাসক্তি, ব্যভিচারের ইচ্ছা, কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, মিথ্যা এবং পুরুষ দেখলেই মিলনের ইচ্ছা নারীর স্বভাবজাত বদ খাসিয়ত। পুরুষ পৃথিবীতে পাপ করলে পরজনমে নারী হয়ে  জন্মাবে। নারী জাতি হীন, পাপমুর্তি, বিশ্বাসের অযোগ্য এবং দাস সম্প্রদায়ভুক্ত। কোন মানুষকে এক হাজার মুখ দিয়ে , প্রতি মুখে হাজার বছর নারীর বদনাম করলেও নারীর দোষ বর্ণনা শেষ হবেনা। ধন-সম্পদ, শিক্ষায় নারীর কোন অধিকার নেই। নারী থেকে কোন পরামর্শ নেয়া যাবেনা এমনকি পরামর্শের সময়ে  নারীকে কাছেও রাখা যাবেনা। পূর্বকালে কণ্যা যখন প্রথম ঋতুবর্তী হত, তখন তাকে মন্দিরের প্রাঙ্গনে রেখে আসা হত, ছেলেদের দঙ্গল সেখান থেকে বাছাই করে, কুমারী কণ্যাদের তুলে নিয়ে  জঙ্গলে চলে যেত, তাকে ধর্ষন করার পর পিতা-মাতার কাছে ফেরত দিত। সবার বিশ্বাস ছিল এতে কণ্যা পবিত্রতা অর্জন করেছে; পিতা-মাতা খুশিতে বাঙী ফিরে মানুষকে দাওয়াত দিত, ধুমধাম করত ও পূজার আয়ে াজন করত। কখনও কখনও সুযোগ সন্ধানী ছেলেরা, কুমারী মেয়ে দের বাঙী থেকে তুলে নিত, দেখা যেত কারো সুন্দরী গৃহবধুকে এভাবে তুলে নেয়া হয়ে ছে। এই ছিল সামাজিক ভাবে নারীর মর্যাদা! এই আইনের কারনে নারীরা কতটা অসহায় ছিল, চোখ বন্ধ করলেই দৃশ্যপটে ভেসে উঠবে।



বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকারঃ
অহিংসা পরম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি; প্রাণী হত্যা বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ। সেই বৌদ্ধ ধর্মে নারী সর্ম্পকে বলা হয়ে ছে: নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া মানবীয় পবিত্রতার পরিপন্থি। নারীর সাথে কোনরূপ মেলামেশা বা অনুরাগ রেখোনা। পুরুষের জন্য নারী ভয়ঙ্কর বিপদ স্বরূপ, তাই তাদের সাথে কোন কথা বলোনা। নারী তার মনোহর কমণীয় ভঙ্গিদ্বারা পুরুষের বিশ্বাস নামক সম্পদ লুটে নেয়। নারী একটা ছলনা, তার থেকে আত্মরক্ষা করো। নারীর সাথে বসবাস করার চেয়ে ; বাঘের মুখে খাদ্য হওয়া কিংবা ঘাতকের তরবারীর নিচে মাথা পেতে দেওয়া অনেক উত্তম।



খৃষ্টান ধর্মে নারীর অধিকারঃ-
খৃষ্ট ধর্মে নারীকে মানুষ হিসেবে স্বীকার করা হতোনা। তারা নারীকে সমস্থ পাপের প্রতীক হিসেবে বিশ্বাস করে। মানুষের আদি মাতা মা হাওয়ার ভূলের কারনে নারীর রক্তে পাপ স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত মনে করেন। মানব শরীরে মাতৃরক্তের অংশ বিশেষ থাকে বলে সমস্ত মানবজাতি পাপী। যিশু নিজেকে উৎসর্গ করে, সে পাপ থেকে মানবজাতিকে মুক্তি করে গেছেন। স্বয়ং যীশু তাঁর মা নারী বলে তাঁকে ধিক্কার দিয়ে ছেন। নারী শয়তানের প্রতিচ্ছায়া-শয়তানের শক্তি। বিষধর সাপের ন্যায় বিষাক্ত, নারী এক বিচ্ছু স্বরূপ; যে দংশনের জন্য সদা প্রস্তুত থাকে। নারী শয়তানের প্রবেশ দ্বার, যাবতীয় সকল দুঃখ-দুর্দশার জন্য তারা দায়ী, নারী হয়ে  জন্মই লজ্জার, নারী পৃথিবীর জন্য অভিশাপ এক অনিবার্য পাপ, জন্মগত দুষ্ট প্ররোচক, আনন্দদায়ক বিপদ ও ধ্বংসাত্মক প্রেমদাযড়নী। খৃষ্টান ধর্মবেত্তাগন মা’কে স্পর্শ করেনা, সমুদয় পূর্ণ্যকর্ম বরবাদ হবে বলে। নারীকে দেখলেই সমুদয় পূর্ণ্য, বিরাট শূণ্যে পরিণত হবে বলে, পাদ্রীগন লোকালয় ছেড়ে?গভীর অরণ্যে জীবন যাপন করতেন এবং সেখানে গীর্জা বানাতেন।
পশ্চিমাদের নারীঃ
সম অধিকার বইলা চিল্লাইয়া পশ্চিমা নারীরা এখন প্রস্টিটিউট আর প্রোডাক্ট আইটেম হইয়া গেছে। পশ্চিমারা নারীর সুধু দিয়ে ছে যৌন আর তারা জনগনের সম্পত্তি তে পরিনিত হয়ে ছে।নারী স্বাধীনতার পশ্চিমা শ্লোগান একটি প্রকাশ্য প্রতারণা। তার দেহের সৌন্দর্যকে খুলে খুলে ব্যবসা করার একটি লোভনীয় ফাঁদ। তার আত্মার অবমাননা এবং তার সম্মান ও মর্যাদাকে ধ্বংস করে দিয়ে ছে। আর প্রকাশ্য বাস্তবতা হলো তাদেরকে তাদের সম্মানিত অবস্থান থেকে নামিয়ে  উপপতী, রক্ষিতা এবং সৌখিন সমাজের লালসা পূরনের জন্য উঙন্ত প্রজাপতি বানিয়ে  ছেড়েছে। ফলে তারা এখন বিলাসী পুরুষের নাগালের মধ্যে থাকা ভোগের পুতুল আর যৌন কারবারীদের ব্যবসায়ে র সস্তা পণ্য। যা আঙাল করা হয়ে ছে শিল্প ও সংস্কৃতির মনোলোভা রঙিন পর্দা দিয়ে । নারী -পুরুষ যদি সমান সমান ই হয়ে  থাকে তাহলে অলিম্পিক এ নারীদের আর পুরুষদের আলাদা আলাদা ইভেন্ট করা হয় না কেন?অর্থাৎ সবাই আমেরিকা ,ব্রিটেন জার্মানি সহ প্রায় সব দেশের প্রেসিডেন্ট পুরুষ। নারী পুরুষ যদি সমান হয় তাহলে অর্ধেক দেশে ত প্রেসিডেন্ট পুরুষ হওার কথা। তাহলে নারীদের ক্ষমতা কই গেল। এই নামধারী উন্নত দেশের মেয়ে রা ড্রাগ কেনা বেছা করে ও দেহ বেবসা করে জিবিকা নির্বাহ করে। এমন অনেক আছে।
নারীর সম্পত্তির অধিকারঃ
পিতার সম্পত্তিতে পুরুষের যেমন অধিকার আছে তেমনে নারীর ও অধিকার আছে । পিতার সম্পত্তিতে পুরুষের অর্ধেক পাবে নারী ( ইসলামের আগে কোন সমাজে নারীদের সম্পত্তি দেওয়া হত না) অর্থাৎ পুরুষ যদি ১০০ টাকা পায় তবে নারী পাবে ৫০ টাকা। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর যদি বোন অবিবাহিত থাকে তাহলে বোন এঁর সকল দায় ভার ভাই কে নিতে হবে । বোনের বিয়ে র দায় ভার ও ভাই কে নিতে হবে। এতে বোনের টাকা খরচ করার দরকার নাই সব দায় নিতে হবে ভাইকে। অতপর বোনের বিয়ে র পর সে আবার স্বামীর পরিতাক্ত সম্পত্তিতেও ভাগ পাবে। আর স্ত্রী এঁর সব দায় নিতে হবে তার স্বামীকে। বিয়ে র সময় স্ত্রী কে দেনমহর দিতে হবে।
অর্থাৎ ছেলে= ১০০%
মেয়ে = ৫০%+ স্বামীর সম্পত্তি+দেন মহর+সব কিছুর দায় মুক্ত =১০০%
স্ত্রী যদি উপার্জন করে তবে সেটা তার থাকবে। আর স্বামী যদি উপার্জন করে সেটা তার এবং তার স্ত্রির। ইসলাম সমতায় বিশ্বাসী ।ইসলামে নারী পুরুষ সমান। কিছু জিনিসে পুরুষ উপরে আর কিছু দিকে নারী উপরে। যেমন দুই জন ছাত্র যৌথভাবে প্রথম হয়ে ছে উভয়ে  ৮০ নাম্বার পেয়ে ছে এখন। ১ নাম্বার প্রশ্নে একজন পেয়ে ছে ৮ আরেকজন ৭। এঁর মানে এই না যে প্রথম জন সেরা কারন সে ৮ পেয়ে ছে। সব মিলে গরে হিসাব করলে সমান দুইজন ।ধরেন আপনার বারিতে চুর এসেছে এখন আপনে কি বলেবন আমি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আমার মা বোন ঝাপিয়ে  না পরলে আমি জাব না? প্রথম আপনে ঝাপিয়ে  পরবেন তারপর হয়ত আপনার মা বোন আপনাকে সাহায্য করবে। আর এইটাই ইসলামিক বিধান। নারী পুরুষ যদি সব দিক দিয়ে  সমান হয় তাহলে অলিম্পিক এ আলাদা আলাদা ইভেন্ট কেন।? এক সাথে নারী পুরুষ খেলে না কেন? ক্রিকেট ফুটবল ইত্তাদি আলাদা আলাদা টিম কেন? আমেরিকা ব্রিটেন রাসিয়া কোন দেসের প্রেসিডেন্ট মহিলা? আসলে পশ্চিমারা দিয়েছে নারীদের সুধু যৌন অধিকার। আর আমাদের দেসের চুচিলরা মনে করে নারীদের বের করে দিতে পারলেই নারীদের সম্মান দেওয়া হয়ে  গেল



অর্থনৈতিক অধিকারঃ
পশ্চিমাদের ১৪০০ বছর পূর্বে ইসলাম নারীদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রদান করেছে।এক জন পূর্ণ বয়স্ক মহিলা হক বিবাহিত অথবা অবিবাহিত কার পরামর্শ ছাঙাই সম্পদের মালিক হতে পারে,বিলি বণ্টন করতে পারে,মালিকানা আদান প্রদান করতে পারে। এই সম্পর্কে কুরানে আল্লাহ বছেন (আর ঈর্ষা কর না যে বিষয়দ্বারা আল্লাহ তমাদের অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে ছেন।পুরুষ যেটা অর্জন করে সেটা পুরুষের ভাগ আর নারী যেটা অর্জন করে সেটা নারীর ভাগ। সুরা নিসা আয়াত ৩২) আর পশ্চিমাদের মদ্ধে ব্রিটেন প্রথম নারীর নারীর সম্পদ অর্জন করার অধিকার দেয় যা ১৮৭০ সালে)



আইনগত অধিকারঃ
ইসলাম এ নারী যদি খুন করে তার যা শাস্তি হবে পুরুষ করলেও এক ই শাস্তি হবে।



ইসলামে ধর্মীও অধিকারঃ
ইসলামে ধর্মে নারীর পায়ে র নীচে সন্তানের বেহেশত বলা হয়ে ছে। নারীকে ঘরের মূল রক্ষক করেছেন। স্বামীর চারিত্রিক সার্টিফিকেট দেবার ক্ষমতা স্ত্রীকে দেয়া হয়ে ছে। কণ্যা পালন করাকে সর্বোত্তম কর্ম ঘোষনা করা হয়ে ছে। তিন কণ্যার পিতাকে সর্বোচ্চ জান্নাতের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়ে ছে।
Reactions

Post a Comment

0 Comments