আল্লাহ-কে সর্বশক্তিমান বলে মনে করেন ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা। যাবতীয় সব সমস্যার সমাধান থাকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরানে এমনটাই সকল মুসলিমের বিশ্বাস।
মৃত মানুষও বেঁচে উঠতে পারেন যদি আল্লাহ সহায় থাকেন তারা দাবি করেন বলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা নাস্তিক তসলিমা নাসরিন।
তিনি আরও বলেন মু’সলিম’দের এই মনোভাব নিয়ে বিতর্ক কিছু কম নেই। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন নাস্তিকেরা।
বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা তসলিমা নাসরিন, ইস’লাম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরূপ মন্তব্য করে থাকেন ।
তার সেই ধারা বজায় রেখেই বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা তসলিমা নাসরিন ফের কটাক্ষ করেছেন ইস’লামের অনুসারীদের।
এবারের তার কটাক্ষের বিষয় করোনা ভাই’রাস নিয়ে। তিনি বলেন,বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে ছড়াচ্ছে করোনা ভাই’রাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ আক্রান্তের সংখ্যাও।
পৃথিবীর এই প্রতিকূলতার মাঝেও ঈশ্বর বা ঈশ্বরদের কাছ থেকে কোনও সুরাহা মিলছে না। পৃথিবীর অনেক জায়গায়-ই বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে মসজিদ।
নমাজের জন্যেও খোলা হচ্ছে না উপাসনাস্থল গুলো। এবারে তসলিমা নাসরিন মুলত কটাক্ষ করেছেন এট নিয়েই।
রবিবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা নাস্তিক তসলিমা নাসরিন টুইট করে লিখেছেন, “নামাজের
ডাক বা আজানের নিয়মের ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে মুসলিমদের। সমবেত জমায়েত হয়ে প্রার্থনা বা নমাজের জন্য আর উপাসকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও বলেছেন, “এখন মসজিদ থেকে বলা হচ্ছে নিজেদের ঘরে বসেই প্রার্থনা করুন।”
তসলিমা লিখেছেন, “মু’সলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা খুব ভালো করেই জানেন যে করোনা ভাই’রাস থেকে মানুষকে বাঁ’চানোর ক্ষমতা আল্লাহ-র নেই।”
বিশ্ব জুড়ে করোনা আতঙ্কের মাঝে সাবধানতা অবলম্বন করা শুরু হয়ে গিয়েছে ধর্মীয় স্থান গুলিতেও। শনিবার দুপুরের দিকে টুইট করে তিনি লেখেন, “কোনও ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করতে আসবে না। “আল্লাহর ঘর হচ্ছে কাবা, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদ গুলিও বন্ধ। প্রার্থণার ঘরগ’লিতেও আর ভিড় হচ্ছে না।
করো’না ভাই’রাসের অবসান ঘটাতে যদি কেউ সাহায্য করে তবে তা বিজ্ঞানীরা করবে বলে তিনি জানান। আম’রা এখন ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছি।
টুইটের শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, “নাস্তিক
হওয়ার জন্য এটাই আদর্শ সময়।”
ধর্ম এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরোধ নতুন কিছু নয়। যার কারণেই তিনি তার জীবনে বারবার আক্রমণ সম্মুখীন হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকেও তাকে বিতারিত করা হয়েছিল এই ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণেই। ঠাঁই মেলেনি কলকাতার মাটিতেও। অনেক জটিলতা পার করে এখন তিনি সুইডেনের নাগরিক।
তার এই বিরূপ মন্তব্বের জন্য ইস’লাম ধ’র্মীরা তাকে নিয়ে কড়া সমালচনা করছেন।তাকে কোনভাবেই বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে দেওয়া যাবে না বলে হুশিয়ারি দেন ইস’লাম ধর্মীরা।
সূত্রঃ নজরবন্দি, কলকাতা
0 Comments